বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন,বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারীভাবে ক্রয়কৃত বগা খাদ্য গুদামের শতাধিক মেট্রিকটন আমন ধান একটি পরিত্যক্ত ইটভাঁটি মাঠে বৃষ্টিতে ভিজছে। ধান থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করে খাদ্য গুদামের সিলযুক্ত বস্তায় ঢোকানোর জন্য এখানে আনা হয়েছিল । উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর থেকে সরকারীভাবে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি ধরে আমন ধান সংগ্রহের কর্মসূচী শুরু হয়। চলতি বছরের ৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শেষ হয়। ৪০ কেজি করে প্রতি বস্তার মূল্য হয় ১ হাজার ৪০ টাকা।
বাউফল উপজেলার কালাইয়া ও বগা খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬শ’২৪ মেট্রিকটন। যার সর্বোচ্চ আর্দ্রতা থাকার কথা শতকরা ১৪। নির্ধারিত সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪ মেট্রিকটন আমন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। বগা খাদ্য গুদামে ৮শ’৫০ মেট্রিকটন ও কালাইয়া খাদ্য গুদামে ১ হাজার ২২ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বগা খাদ্য গুদামের শতাধিক মেট্রিকটন ধান থেকে আর্বজনা পরিষ্কারের জন্য মঙ্গলবার ওই এলাকার আলতাফ মিয়ার পরিত্যক্ত ইটভাঁটির মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আবর্জনা পরিষ্কার করে খাদ্য অধিদফতরের সিলযুক্ত বস্তায় ভড়ে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বাউফলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। ওই বৃষ্টিতে অধিকাংশ বস্তার ধান ভিজে যায়। পরের দিন শুক্রবার সারাদিন আকাশ ছিল মেঘলা। বৃষ্টিতে ধান ভেজার কারণে আর্দ্রতা নষ্ট হয়েছে। ধানগুলো মোতাহার হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি কৃষকদের কাছ থেকে কম মূলে ক্রয় করে সরকারী মূল্যে বগা খাদ্য গুদামে সরবরাহ করার জন্য ওই ইটভাঁটি মাঠে মজুদ রাখেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এ বছর ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। খাদ্য গুদামের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে কৃষক নয়, এমন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তাতে প্রকৃত কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ওই প্রভাবশালী মহল সিন্ডিকেট করে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ৪০ কেজি ৬শ’৫০ থেকে ৭শ’ টাকা ধরে ধান ক্রয় করে খাদ্য গুদামে বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৪০ টাকায়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কালাইয়া ইউনিয়নের কৃষকের তালিকার এক নম্বরে যে ব্যক্তির নাম রয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে কৃষক নয়। তিনি একজন প্রভাবশালী ঠিকাদার।
Leave a Reply